মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

বগুড়া ধুনটে আওয়ামীলীগ নেতার হাতে ইউএন্ও অফিসের ৩ সহকারী লাঞ্চিতের ঘটনার সুরাহা হয়নি

Reading Time: 2 minutes

মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া:
আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক ইউএনও অফিসের তিন সহকারী লাঞ্ছিত ঘটনায় দুইদিন পেরিয়ে গেলেও কোন সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে শঙ্কা বেড়েই চলছে। বগুড়ার ধুনটে আওয়ালীগ নেতার লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তিন সহকারী। লাঞ্চনাকারী এই নেতার নাম কামরুল ইসলাম তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক। রবিবার বিকেল ৫টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে এ-ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত লাঞ্ছনার ঘটনায় কোনো প্রকার মিমাংসার পদক্ষেপ না নেয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে লাঞ্চনার শিকার ইউএনও’র অফিস সহকারী বাবুল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেলে আমিসহ আরেক সহকারী খোরশেদ আলম ও উপজেলা পরিষদের পিয়ন আবু বক্কার চেয়ারম্যান স্যারের বেতনের চেক সহ সরকারি দাপ্তরিক কাজের ফাইল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসভবনে যাই। এরপর পিয়ন বক্কার ফাইল নিয়ে দো’তলায় চেয়ারম্যানের কক্ষে পৌঁছালে তিনি কোন ফাইলে স্বাক্ষর না করে তাকে অপমান করে বের করে দেন।আমরা তখন সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে গেলে কামরুল নামে এক ব্যক্তি ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, গত ৩১ মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন তার সম্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা ও সরকারি গাড়ীর জ্বালানীর খরচের টাকার জন্য ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু মাস শেষ না হলে ভাতা দেওয়ার নিয়ম না থাকায় সেইদিন স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি।
পরদিন সরকারি ছুটি থাকায় ৩ এপ্রিল ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে দাপ্তরিক অন্যান্য ফাইলসহ এক পিয়ন ও দুই অফিস সহকারী দিয়ে তার বাসভবনে পাঠানো হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি কোন ফাইলে স্বাক্ষর না করে তাদেরকে বের করে দেন। এরপর চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা কামরুল নামে এক ব্যক্তি আমার অফিস সহকারীদের ঘরের দরজা বন্ধ করে লাঞ্চিত করেন। এবিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
তবে এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদেরকে কোন লাঞ্চিত করা হয়নি। শুধুমাত্র কথাকাটাকাটি হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে ফোন করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com